ছায়ানাটকের সঙ্গীতকে শক্তিশালী করে তোলার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের শহীদ আলতাফ মাহমুদকে প্রয়োজন হয়েছিল। সে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা । আমাদের পরিচয়ের কিছুকাল আগে ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলী। সে সময় আমার সঙ্গে পরিচয় হয় সত্যেন সেনের। সত্যেনদার সঙ্গে পরিচয় হয় দক্ষিণ মৈসুন্দির ন্যাপ নেতা আবদুল হালিমের মাধ্যমে। সত্যেনদা আমাদের নানা ধরনের ক্লাস নিতেন।
সত্যেনদাই আমাদের ছায়ানাটক করার শিক্ষা এবং উৎসাহ দেন। শুরু হয় ছায়ানাটকের অনুষ্ঠান। তখন শিল্পী আবদুস সবুর ও আমি পাড়ায় পাড়ায় ছায়ানাটকের অনুষ্ঠান করে বেড়াই। ছায়ানাটকের সঙ্গীতকে জোরালো ভূমিকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা থেকে কথাসহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন আলতাফ মাহমুদের সঙ্গে। শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন আমাদের ছায়ানাটকের আরেক নেপথ্য গুরু, তিনিই আমাদের ছায়ানাটকের স্ক্রিপ্ট লিখে দিতেন।
সুঠাম দেহী মানুষ আলতাফ মাহমুদ। মাথায় চুল ছিল কম। তবে তার উজ্জ্বল চোখের প্রখর এবং মায়াকাড়া দৃষ্টি মুহুর্তেই অন্যদের কাছে টেনে নিত। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। আলতাফ মাহমুদের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, তিনি অতি অল্প সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। পরে অবশ্য বিশাল হৃদয়ের অধিকারী এ মানুষটির আরো অনেক গুনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এবং যতই তাকে জেনেছি, মুগ্ধতা ততই বেড়েছে। বুঝতে পেরেছি রক্তে মাংসে গানের মানুষ বলেই আলতাফ মাহমুদের পক্ষে একুশের গানের এ রকম অনবদ্য সুর করা সম্ভব হয়েছে।
ভীষন আড্ডাবাজ ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। আসর জমিয়ে রাখার অনন্য গুণে তিনি অন্যদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতে পারতেন। আড্ডায় বসে কথার বন্যা বইয়ে দিতেন, সঙ্গে সঙ্গে গাইতেন গানও। খালি গলায় গুনগুন করে গান গাইতে থাকার মাঝে হঠাৎ করেই তিনি মুখ দিয়ে তবলা বা গিটারের শব্দ করতেন। গুনগুনিয়ে গাইতে গাইতে তিনি অনেক নতুন গানের সুরও করেছেন।
গান ছিল আলতাফ মাহমুদের সমস্ত মনপ্রাণ ঝুড়ে। গানের ভেতর দিয়েই তিনি ভুবনটাকে দেখতে এবং এবং অন্যদের দেখাতে চাইতেন। সম্ভবত এ বিশ্বাসের কারণেই গণসঙ্গীতের প্রতি ছিল তার অবিচল আস্থা। গণসঙ্গীত দিয়ে তিনি মানুষকে জাগানোর ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। ফলে সুযোগ পেলেই তিনি গণসঙ্গীত চর্চায় মনোনিবেশ করতেন।
কাগমারী সম্মেলন থেকে রংপুরে অনুষ্ঠিত যুব সম্মেলন সর্বত্র আলতাফ মাহমুদের দরাজ গলায় পরিবেশিত গণসঙ্গীত মানুষের মনকে নাড়িয়ে দিতে থাকে। খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি এসব অনন্য গানের অনুষ্ঠান এবং একই সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছি শিল্পী আলতাফ মাহমুদের বেড়ে ওঠাও।
পরিচয়ের মাত্র কিছুদিন পরেই আলতাফ মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল আমার। ১৯৫৫ সালের শেষে তিনি ঢাকা থেকে ভিয়েনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে করাচি যাত্রা করেন। কোনো এক অজ্ঞাত ষড়যন্ত্রে তার পাসপোর্ট বাতিল হলে মানসিক আঘাত পেয়ে করাচিতেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের অপচেষ্টা আলতাফ ভাইয়ের জন্য শাপেবর হয়েছিল এবং এখান থেকেই আমরা আরো একটি নতুন পথে তাকে যাত্রারম্ভ করতে দেখি।
করাচিতে আলতাফ মাহমুদ পুনরায় তার একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিজামুল হকের সাহচর্যে লাভ করেন এবং অন্যান্য বাঙালি শিল্পী শেখ লুতফর রহমান, আফরোজা বুলবুল, সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেন, নৃত্যশিল্পী আমানুল হকসহ অনেককেই সঙ্গী হিসেবে পান। এখানেই তিনি ওস্তাদ কাদের খাঁর কাছে নাড়া বেঁধে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে তালিম এবং ওস্তাদ রমজান আলী খাঁ, ওস্তাদ জিরে খাঁ, সেতারিয় কবির খাঁ, বীনকার ফকির হাবিব আলী খাঁ, ওস্তাদ ওমরাও বন্দ খাঁ, তবল নেওয়াজ আল্লাদিত্তা খাঁর স্নেহ ও ভালোবাসা লাভ করেন। করাচি বেতারে গান গাওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠান প্রযোজনাতে লেগে যান। বের হয় তার প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড। তবে সবচেয়ে বড় যে ঘটনাটি, তা হচ্ছে আলতাফ মাহমুদ করচিতে থাকাকালেই এ জে কারদার পরিচালিত ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ চলচ্চিত্রের ‘হাম হায় নদীকা রাহা’ গানে কন্ঠদান করেন।
করচি থেকে এস আলতাফ মাহমুদ চলে গেলেন শৈশব-কৈশোরের প্রিয় শহর বরিশালে। যতদূর জানি বরিশাল থেকে ১৯৫৯ সালে আবার ঢাকায় ফিরে আসার আগে সেখানকার একটি নাটকে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। সম্ভবত ঢাকা থেকে আবারও বরিশাল হয়ে পুনরায় করাচি ফিরে যান। পরে ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় ফিরে এসে প্রথমে মিতা এবং পরে বেবী ইসলামের ছবিতে গান করেন। এ সময়েই তিনি সাদেক কানের পরিচালনায় নির্মিত উর্দু ছবি ‘ক্যায়সে কাহুতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।
আমিও ততদিন জহির রায়হানের লিটল সিনেথিয়েটারে সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছি। আলতাফ ভাইকে ফিরে পেয়ে, বিশেষ করে আমার নিজেরই কর্মএলাকা চলচ্চিত্রাঙ্গনের কাজেই ফিরে পেয়ে ভীষন উৎসাহিত হয়ে উঠলাম। তখন আমাদের নিয়মিত দেখা-সাক্ষৎ হতে লাগল। প্রায় প্রতি সন্ধায় জাকরিয়া হাবিব, নায়ক রাজ্জাক, পল্লীগীতির জনপ্রিয় গায়ক আবদুল আলীম, বেবী জামানসহ আমরা অনেকেই মগবাজার মোড়ে একটি রেস্তোরায় আড্ডা দিতে শুরু করলাম এবং যথানিয়মে আলতাফ ভাই আমাদের আড্ডার মধ্যমনি হয়ে গেলেন।
এ সময় সঙ্গী পরিচালক হিসেবে তার রোজগার ছিল যথেষ্ট। তবে রোজগারের সর্বস্বই তিনি আড্ডায় উজাড় করে দিতেন। অসম্ভব হাতখোলা ও বড় মনের মানুষ আলতাফ ভাই কিন্তু বেশ রাগীও ছিলেন। রেগে গেলে অগ্নিমূর্তি ধারন করতেন। তবে তার রাগ ছিল স্বল্পস্থায়ী, ফলে আগের দিনের রাগ পরের দিনই ভুলে যেতেন এবং পরম মমতায় আবার কাছে ডেকে নিতেন।
আমার পরিচালিত ছবি ছিল ‘আগুন নিয়ে খেলা’, আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত এ ছবিটির প্রযোজক ছিলেন নায়িকা সুমিতা দেবী। অনেক বাধা-বিপত্তির পর আমি আলতাফ ভাইকে আমাদের এ ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নিই। আলতাফ ভাইকে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নেওয়ার সময় তার পারিশ্রমিক জানাবার জন্য সুমিতা দিদি বারবার বলতে লাগলেন। আলতাফ ভাইয়ের এক কথা, যা পারেন তা-ই দেবেন।’ তবু দিদির অনেক পীড়াপীড়িতে রসিকতার পথ ধরেন তিনি, মনে পড়ে কী চমৎকার করেই-না বলেছিলেন, ‘দিদি আপনিও দোসানী নন, আর আমিও কাবুলিওয়ালা নই।’
‘আগুন নিয়ে খেলা’য় আলতাফ ভাইয়ের সুরারোপিত সব গানই দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এ ছবির থিম গান ‘কালোরুপ কত অপরুপ আমি দেখেছি নয়ন ভরে’ লিখেছিলেন কবি সিকানদার আবু জাফর। আলতাফ ভাই প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লেগে থেকে জাফর ভাইকে দিয়ে গানটি লিখিয়েছিলেন। জাফর ভাই যখন তিন-চার দিন চলে যাওয়ার পরও গান লিখে দিচ্ছিলেন না, তখন সবাই বলছিল অন্য কোনো গীতকারকে গানটি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য। আলতাফ ভাই কারো কোনো কথা না শুনে বললেন, এ গান শুধু জাফর ভাই-ই লিখতে পারেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নাছোড়বান্দা হয়ে গানটি জাফর ভাইকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন এবং গানটি এখনো থিম গানের অপূর্ব উদাহরন হয়ে আছে। এই ছবির আরেকটি গানের সিটিং চলেছিল একাধারে চার দিন, কিন্তু গানটি হচ্ছিল না। পাঁচ দিনের দিন হঠাৎ করে জহির ভাই এসে বললেন-‘কি হলো এক গানের সিটিং কত দিন চলবে?’ আলতাফ ভাই বললেন, ‘বাচ্চু এই সিচুয়েশনে একটি মিষ্টি গান চাইছে। কী করা যায় তা ভেবে পাচ্ছি না।’ তাৎক্ষনিকভাবে জহির ভাই বললেন, ঠিক আছে সুর তোলেন’ এবং এরপর তিনি নিজেই গাইতে লাগলেন, ‘কী যে মিষ্টি মিষ্টি লাগছে তোকে আজ’ আলতাফ ভাই খুশিতে লাফ দিয়ে উঠে বলেছিলেন, ‘ইয়েস-ইউরেকা, এই তো আমার গান পেয়ে গেছি। শুরু হলো আরো একটি গান লেখা আর সুর করা। সব গানের মধ্যে চটুল গান হিসেবে এ গানটি অসামান্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এরপর সঙ্গীত পরিচালনা করে গেছেন তিনি আমার ছবি ‘কুচবরন কন্যা’ ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’ ‘শেষ পর্যন্ত’, দুই ভাই, বেদের মেয়ে’সহ আরো কয়েকটি ছবির। গান বাজারে প্রচুর নাম করেছিল সেসব ।
মনে আছে ১৯৬৭ সালে পল্টন ময়দানে সোভিয়েত ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমরা ‘স্ফুলিঙ্গ’ নামক ছায়ানাটকের আয়োজন করেছি। দুদিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানটি পচিালনা করেছিলেন শহীদুল্লাহ কায়সার। আর পরে অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনা, সুর দেওয়া ও সঙ্গীত পরিবেশনার দায়িত্বে ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান গণনাট্য সংঘের নিজামুল হক।
আলতাফ ভাইয়ে গলায় যখন উজ্জল একঝাক পায়রা গানটির সঙ্গে ছায়ানৃত্য হচ্ছিল তখন হাজার হাজার দর্শক করতালি দিয়ে তাকে উৎসাহিত করেন। আলতাফ ভাই হামোনিয়াম নিয়ে গাইছিলেন আর নাচছিলেন। সেদিন অনুষ্ঠানের দর্শক-শ্রোতারা খুবই মুগ্ধ হয়েছিল।
জহির ভাই ১৯৭০ সালে ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ শুরু করেন। এ ছবিতে আলতাফ ভাইকে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, এ ছবিতে তিনি একটি চরিত্রেও অভিনয় করছিলেন। আলতাফ মাহমুদ অবশ্য এর আগেও বেবী ইসলামের ‘ক খ গ ঘ ঙ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ ছবিটি জহির রায়হান শেষ করে যেতে পারেননি। আন্তর্জাতিক মানের এই ছবিটি অসমাপ্ত অবস্থায় আজও পড়ে আছে এফডিসির ল্যাবরেটরিতে।
এরই মধ্যে চলে এল ১৯৭১, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ আমরা একসঙ্গে জহির রায়হানের বাসায় যাই। ওখানেই যাবতীয় কথাবার্তা হয়। জহির ভাই জানালেন, শিগগিরই তিনি ভারতে চলে যাবেন। আমাদের বললেন, তোমরা ঢাকায় থাকো, এখানে অনেক কাজ আছে, তোমাদের কী করতে হবে তা পরে জানাব।
আলতাফ ভাইয়ের সঙ্গে আমার শেষ দেখা ১৯৭১ সালের মে মাসের কোন একদিন। আমি আর জ্যাক (জহির রায়হানের ছোট ভাই জাকারিয়া হাবীব) আলতাফ ভাইয়ের সঙ্গে তার গাড়িতে চড়ে গুলশানে নায়ক রাজ্জাকের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। আলতাফ ভাই নিজেই তার প্রিয় মরিস গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। মাঝপথে ফার্মগেটের কাছে পাকিস্তানী সৈন্যরা আমাদের গাড়ী থামাল, তাদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজাকারকেও দেখলাম। সৈন্যরা জিজ্ঞেস করল, তুমলোক কৌন হ্যায়। ভয়ে আমার তখন অবস্থা খারাপ, গলা শুকিয়ে গেছে, জ্যাকের মুখ দিয়েও কোনো কথা বেরুচ্ছে না। আলতাফ ভাই জবাব দিলেন, হাম লোক বাঙালি হ্যায়। তারা সালামালাকুম বলে হাত নেড়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। ফার্মগেট পার হতেই আলতাফ ভাইকে বললাম, এটা কী বললেন, শালারা যদি আমাদের ধরত? আলতাফ ভাই আমার ভীতসন্ত্রস্থ জিজ্ঞাসার উত্তরে প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং বললেন, আর কী বলব, বলব হামলোক পাকিস্তানি হ্যায়? ওই দিন রাজ্জাকের বাসায় অনেক গালগপ্পো করে কারফিউ শুরুর আগেই বাসায় ফিরলাম। এই শেষ দেখা আলতাফ মাহমুদ, আমাদের প্রিয় আলতাফ ভাইয়ের সঙ্গে।
আলতায় ভাই শুধু গানই রচনা ও সুরারোপ করেননি, প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনেই কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারত যাননি। তিনি ঢাকায় থেকে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ রাখতেন এবং সহযোগিতা করতেন। এক পর্যায়ে তিনি এমনভাবে জড়িয়ে গেলেন যে, নিজ বাসায় মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্র পর্যন্ত রাখতেন। পরে পাক সেনারা তার বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। শুনেছি আলতাফ ভাইকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।