১১ই জুলাই ১৯৪৬, শহীদ আজাদের জন্মদিন। এই অসীম সাহসী ক্র্যাক প্লাটুন খ্যাত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার জন্য আমাদের হৃদয় নিঙড়ানো ভালবাসা, শ্রদ্ধা। সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ – আপনার প্রার্থনায় এই বীর শহীদ’কে স্মরণ করুন। একই সাথে আমরা শহীদ আজাদের হার না মানা জননী পরম শ্রদ্ধেয় সাফিয়া বেগম’কে গভীরতম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। যিনি শহীদ আজাদের অন্তর্ধানের পর ১৪ টি বছর মুখে ভাত তোলেননি, যার কবরে লেখা রয়েছে ” শহীদ আজাদের মা”। আপনাদের সকলের প্রার্থনায় তাঁকেও রাখুন। এই মানুষটি ব্যক্তি জীবনে আত্মসম্মান নিয়ে নিজ পুত্রকে বড় করেছেন, তাঁর মত মহীয়সী মানুষ ছিলেন বলেই, আজাদ’রা জীবন তুচ্ছ করে আপনাকে, আমাকে দিয়ে গেছেন স্বাধীন, সার্বভৌম ভূখণ্ড, গৌরবের লাল-সবুজ পতাকা।
স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পর, আজও বাংলার ঘরে ঘরে হাজার হাজার আজাদের মা, রুমির মা, জুয়েলের মায়েরা নিভৃতে চোখের পানি ফেলে। পৃথিবীর সব কষ্ট হয়ত সময়ের সাথে সাথে হালকা হয়ে যায় কিন্তু সন্তান হারাবার কষ্ট কি কোন দিন কমে। জীবনের প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত সেই ছেলে হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে তারা বেঁচে থাকে। মায়ের কাছে সন্তান বিদায় নিয়ে দূরে কথাও চলে গেছে। সেই শহীদ মায়েরা তাদের ছেলের মুখ আর কোন দিনও দেখতে পাবে না, তাদের ছেলেরা বর্ষার তুমুল বর্ষণে মায়ের হাতের আদরে মাখা খিচুরী খাবে না, ঘোমটার ফাঁক গলে চেয়ে থাকা মায়ের দৃষ্টি নিয়ে শরতের আকাশে ঘুড়ি উড়াবে না, কনকনে শীতের রাতে মায়ের বুকের উষ্ণতা নিবে না, ক্লান্ত হয়ে বাসায় এসে মায়ের শাড়ির আঁচলে মুখ মুছবে না, গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দুপুরে মায়ের খোলা শীতল পিঠে কচি শরীর লেপটে ঘুমাবে না, মায়ের অনেক আদরের মানুষটি কখনই মাকে নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেকে দেখতে পাবে না।
শহীদ আজাদের জন্য Obscure এর গান –